কোন ব্যাংকে ডিপিএস করলে সবচেয়ে বেশি লাভ পাওয়া যাবে
সুদিনের সঞ্চয় দুর্দিনের সহায়। ছোট ছোট ধাপে ভবিষ্যতের বড় সঞ্চয়ের পথে হাঁটতে চাইলে ডিপোজিট পেনশন স্কিম বা ডিপিএস হতে পারে আপনার জন্য সবচেয়ে কার্যকরী উপায়। তবে মনে প্রশ্ন জাগতে পারে --কোন ব্যাংকে ডিপিএস করলে সবচেয়ে বেশি লাভ পাওয়া যাবে? এই প্রশ্নের উত্তর যদি পেতে চান,তাহলে নিচের আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়তে পারেন।
পেজসূচীঃকোন ব্যাংকে ডিপিএস এর লাভ বেশী বিস্তারিত জানুন
- কোন ব্যাংকে ডিপিএস করলে বেশি লাভ পাবেন
- ডিপিএস বাছাইয়ের সময় যে বিষয়গুলো গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবেন
- বেশি লাভ বনাম নিরাপত্তা কোনটা বেছে নিবেন
- শেষ কথাঃ কোন ব্যাংকে ডিপিএস করলে বেশী লাভ পাওয়া যাবে
কোন ব্যাংকে ডিপিএস করলে বেশি লাভ পাবেন
বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ ক্রেডিট রেটিং অনুযায়ী ব্যাংকগুলোকে বিভিন্ন গ্রেডে ভাগ করা হয়েছে, যার মধ্যে Triple A (AAA), Double A (AA), A+ শ্রেণির ব্যাংকগুলোর স্থায়িত্ব ও নিরাপত্তা সবচেয়ে ভালো। এসব ব্যাংকে ডিপিএস করলে আপনি কেবল বেশি লাভই পাবেন না, নিরাপত্তাও পাবেন। কোন ব্যাংকে ডিপিএস করলে সবচেয়ে বেশি লাভ পাওয়া যাবে, নিম্নোক্ত তালিকা দেখে আপনি নিজেই অনেকটা বুঝে নিতে পারবেন।
ক্র.নং | ব্যাংকের নাম | মেয়াদ | সুদের হার | মাসিক জমা |
---|---|---|---|---|
০১ | গ্রামীণ ব্যাংক | ১০ বছর | ১২% | ২০০-১০০০০ |
০২ | অগ্রনী ব্যাংক | ৫-১০ বছর | ৭% | ১০০০-১০০০০ |
০৩ | প্রিমিয়ার ব্যাংক | ৩-১২ বছর | ৯.৭৫% | ৫০০ টাকার গুনিতকে |
০৪ | পূবালী ব্যাংক | ৩-৫ | ৭.২৫-৭.৫০% | ৫০০-৩০০০ |
০৫ | সোনালী ব্যাংক | ০৫ বছর | ৬.৫০% | ৫০০-১০০০০ |
০৬ | রুপালী | ৩-৮ বছর | ৭.৫০-৮.৫০% | ৫০০-৫০০০০ |
০৭ | মার্কেন্টাইল ব্যাংক | ১-১০ | ৯-১২% | ৫০০-২৫০০০ |
০৮ | ট্রাস্ট ব্যাংক | ৩-১২ বছর | ৮-১০% | ৫০০-৫০০০০ |
০৯ | ন্যাশনাল ব্যাংক | ৩-১০ বছর | ১১-১১.৭৫% | ১০০-১০০০০০ |
১০ | আইএফআইসি ব্যাংক | ১-১০ বছর | ১০% | ৫০০-৫০০০০ |
১১ | সিটি ব্যাংক | ৩-১০ বছর | ৭.২৫-৮% | ৫০০-৫০০০০ |
১২ | ঢাকা ব্যাংক | ২-১০ বছর | ৬-৯.৫০% | ৫০০-২৫০০০ |
১৩ | ওয়ান ব্যাংক | ৩-১০ বছর | ১০-১১% | ৫০০-২৫০০০ |
১৪ | ইস্টার্ন ব্যাংক | ১-৬ বছর | ৯.২৫% | ৫০০-৫০০০০ |
১৫ | ব্রাক ব্যাংক | ৩-১০ | ৯% | ৫০০-৩০০০০ |
ডিপিএস বাছাইয়ের সময় যে বিষয়গুলো গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবেন
ক্রেডিট রেটিংঃ
ক্রেডিট রেটিং এ যে ব্যাংকগুলো AAA স্কোর অর্জন করেছে নিশ্চিন্তে সে ব্যাংকগুলো সবচেয়ে নিরাপদ।
সুদের হারঃ
সুদের হারের ভিত্তিতে প্রতি মাসে কত টাকা জমা করলে কত লাভ পাওয়া যাবে তা ভালো ভাবে দেখে সেখানে ডিপিএস খোলা যেতে পারে।
আরো পড়ুনঃ গ্রামীণ ব্যাংকের সুযোগ সুবিধা কি কি
মেয়াদঃ
মেয়াদ বেশি হলে লাভও বেশি হবে। তবে দীর্ঘমেয়াদী স্কিমের জন্য ব্যাংকের স্থায়ীত্বের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে সে ব্যাংকে ডিপিএস খোলা উচিত।
ইন্টারেস্টঃ
ব্যাংকে ডিপিএস খোলার ক্ষেত্রে ইন্টারেস্ট এর রেট অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কোন ব্যাংক সবচেয়ে বেশি রেট এ ইন্টারেস্ট দিচ্ছে তা আগে থেকেই জেনেশুনে সেখানে ডিপিএস খোলা যেতে পারে। আবার কম্পাউন্ড পদ্ধতিতে ইন্টারেস্ট রেট প্রদান করে কিনা সেটাও জেনে নেওয়া দরকার।
উৎসে কর ও আবগারি শুল্ক কর্তনঃ
আপনার ডিপিএস এর উপরে যে সুদ প্রদান করা হবে তার উপরে উৎসে কর, হিসাব বন্ধের সময় সার্ভিস চার্জ ও আবগারি শুল্ক কর্তন হয় কি না সেটাও জানা দরকার।
বেশি লাভ বনাম নিরাপত্তা কোনটা বেছে নিবেন
আপনি যদি কেবল লাভ দেখতে চান, তাহলে মার্কেন্টাইল ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, ও IFIC ব্যাংক এগিয়ে। তবে নিরাপত্তা ও স্থায়িত্ব চাইলেই গ্রামীণ ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক ও ডাচ-বাংলা ব্যাংক অন্যতম সেরা। অর্থাৎ আপনার লক্ষ্য যদি দীর্ঘমেয়াদে ঝুঁকিমুক্ত সঞ্চয় হয়, তবে ক্রেডিট রেটিং ভালো এমন ব্যাংকই সেরা।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url