ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে কি করবেন

ফ্যাশন ডিজাইনিং একটি সৃষ্টিশীল বা সৃজনশীল কাজ। ফ্যাশন ডিজাইনার হতে গেলে নিজস্ব গুন আর দক্ষতা থাকা অত্যন্ত জরুরী। এ পেশায় কাজ করতে হলে সেলাইয়ের পাশাপাশি আঁকা আঁকির দক্ষতা এবং সর্বোপরি মানুষের জীবন যাত্রা,চিন্তাভাবনা ও রুচির সাথে জানাশোনা থাকা আবশ্যক। 

ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে কি করবেন

চলমান ফ্যাশন ধারাকে পোষাক বা অন্যান্য অনুষঙ্গে ফুুটিয়ে তোলাও ফ্যাশন ডিজাইনারের কাজ। একজন ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে কি কি যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন তা নিম্নে আলোচনা করা হলো।

পেজসূচীপত্রঃ ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে করনীয় কি

ফ্যাশন ডিজাইনারের কাজের ধরন

একজন ফ্যাশন ডিজাইনারের কাজ হলো সময়ের সঙ্গে চলমান এমন পোষাকের ডিজাইন তৈরী করা। কি ধরণের পোষাক ট্রেন্ডে রয়েছে সেদিকে খেয়াল রাখা। পোষাকের ধরণ অনুযায়ী ডিজাইন করা। কাপড়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ডিজাইন করা। কাপড়ের কোয়ালিটি, রং ইত্যাদি বিবেচনা করে খরচের বাজেট তৈরী করা।


ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে কোথায় পড়বেন

ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে আপনাকে এ বিষয়ে পড়াশোনার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।বাংলাদেশে ফ্যাশন ডিজাইনের উপর বিভিন্ন ধরণের কোর্স আছে। এইচ এসসি পাশের পর এই সমস্ত কোর্সে ভর্তি হতে হয়।সাধারণত ডিপ্লোমা অথবা ৪বছরের অনার্স কোর্স শেষ করলেই তাকে ফ্যাশন ডিজাইনার বলে। বাংলাদেশে নিম্নোক্ত প্র্রতিষ্ঠানে ফ্যাশন ডিজাইন নিয়ে পড়াশোনা করা যায়।

ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে কি করবেন
  • বাংলাদেশ টেক্সাইল বিশ্ববিদ্যালয়।
  • বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ফ্যাশন এন্ড টেকনোলজি।
  • ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ফ্যাশন এন্ড টেকনোলজি।
  • ঢাকা ইনস্টিটিউট অব ফ্যাশন এন্ড টেকনোলজি।
  • বিজিএমইএ ইনস্টিটিউট অব ফ্যাশন এন্ড টেকনোলজি।
  • এছাড়া শহীদ এসএ মেমোরিয়াল টেক্সটাইল ফ্যাশন ডিজাইন এন্ড টেক্সটাইল কলেজে অনলাইন ফ্যাশন ডিজাইন শেখার কোর্স আছে।

ফ্যাশন ডিজাইন নিয়ে পড়ার খরচ কত

ফ্যাশন ডিজাইন নিয়ে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গ্র্যাজুয়েশন করতে খরচ হতে পারে সাধারনত ৩থেকে ৭লক্ষ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়তে ২থেকে ৪লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।

ফ্যাশন ডিজাইনিং এ কাজের সুযোগ সুবিধা

  • ফ্যাশন ডিজাইনিং কোর্স শেষ করার পর নিজেই ব্যবসা শুরু করা যায়।
  • বিভিন্ন ধরণের পোষাক তৈরী করে এমন বড় বড় গার্মেন্টস্,বুটিক হাউস,সংস্থার সাথে যুক্ত হয়ে কাজ করা যায়।
  • বহু তারকা ও সেলিব্রেটি এখন নিজস্ব ফ্যাশন ডিজাইনার রাখেন, তাদের সাথে যোগাযোগ করে কাজ শুরু করা যায়।
  • প্রাতিষ্ঠানিক কাজের ফাঁকে অনেক ফ্যাশন ডিজাইনার কনসালটেন্ট হিসেবে ও কাজ করে থাকেন।

শেষকথাঃ ফ্যাশন ডিজাইনারের কাজ আমাদের দেশে বেশ চ্যালেন্জিং। তবে দক্ষতা ও যোগ্যতা থাকলে এখানেও সফল হওয়া যায়।একজন ফ্যাশন ডিজাইনার নিজের পরিচিতি ও কাজের যোগ্যতা শেয়ার করার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সহায়তা নিতে পারেন। ফলে তার পরিচিতি বাড়ার সাথে সাথে কাজের সুযোগ ও তৈরী হওয়ার সম্ভাবনা তৈরী হয়। এতক্ষণ আমার সাথে থাকার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url