ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম কি

 মুসলমানদের জন্য ঈদ-উল-ফিতর এবং ঈদ-উল-আযহা’র নামাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোন কোন মাযহাব এর মতে এটি সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ্ তবে হানাফি মাযহাব এর রীতি অনুযায়ী ঈদের নামাজ পড়া ওয়াজিব। আর ঈদগাহে গিয়ে ঈদের নামাজ আদায় করা প্রায় সব মাযাহাবেই সুন্নাত বলে মন্তব্য করা হয়েছে। আর এই ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম কি, তা এই পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন।

ঈদের-নামাজ-পড়ার-নিয়ম-কি

 ঈদের নামাজ কিভাবে আদায় করতে হয় তা আমরা অনেকেই জানিনা। সঠিক নিয়ম না জানার কারণে নামাজের সময় আমরা একে অন্যের দিকে তাকিয়ে থাকি। ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম কি আমরা এখানে বিস্তারিত জানবো।

পেজ সূচীপত্রঃ ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম

নামাজের নিয়ত

মনে মনে ঈদের নামাজের নিয়ত করতে হবে। যারা আরবীতে জানেন তারা আরবীতে নিয়ত করবেন। আরবী না জানলে বাংলায় এভাবে করতে পারেন- ‘‘আমি কেবলামুখী হয়ে ঈদ-উল-ফিতর/আযহা এর ওয়াজিব নামাজ ৬ তাকবীরের সাথে এই ঈমামের পেছনে আদায় করার নিয়ত করছি, আল্লাহু আকবার”।

প্রথম রাকাত কিভাবে পড়তে হয়

প্রথম রাকাতে আল্লাহু আকবার তাকবীর দিয়ে ঈমাম সাহেব হাত বাঁধবেন। হাত বাঁধার পর ইমাম সাহেব ছানা(সুবহানাকা আল্লাহুম্মা.......) পড়বেন। ছানা পড়ার পর আল্লাহু আকবার বলে হাত উঠিয়ে ছেড়ে দিবেন। এরপর আবার আল্লাহু আকবার বলে হাত উঠিয়ে ছেড়ে দিবেন এবং তৃতীয় বার আল্লাহু আকবার বলে হাত উঠিয়ে হাত বেঁধে ফেলবেন। (প্রতিটি তাকবীরের সাথে সাথে কান পর্যন্ত হাত তুলে আবার হাত ছেড়ে দিতে হবে)।এরপর সুরা ফাতিহা’র সাথে অন্য যে কোন সুরা মিলিয়ে পড়বেন। যথারীতি রুকু ও সিজদা করে প্রথম রাকাত নামাজ শেষ করবেন।

ঈদের-নামাজ-পড়ার-নিয়ম-কি

 দ্বিতীয় রাকাত কিভাবে পড়তে হয়

প্রথম রাকাত শেষ করে উঠে দাঁড়ানোর পর, দ্বিতীয় রাকাতে যথানিয়মে সুরা ফাতেহার সাথে অন্য সুরা মিলিয়ে পড়বেন। রুকুতে যাবার আগে আল্লাহু আকবার বলে হাত উঠিয়ে ছেড়ে দিবেন। এরপর আবার আল্লাহু আকবার বলে হাত উঠিয়ে ছেড়ে দেবেন এবং তৃতীয় বার আল্লাহু আকবার বলে হাত উঠিয়ে রুকুতে যাবেন।এর পর রুকু ও সিজদা করে স্বাভাবিক নামাজের মতোই নামাজ শেষ করবেন। 

খুতবা শোনার ফজিলত কি

নামাজ শেষে ইমাম সাহেব দুটি খুতবা দেন। প্রথম খুতবায় তাওহীদ, তাকওয়া ও কৃতজ্ঞতা এবং দ্বিতীয় খুতবায় সামাজিক ও নৈতিক বার্তা দেওয়া হয়। মুসল্লিদের মনোযোগ সহকারে খুতবা শোনা উচিত। কারণ খুতবা শোনা ঈদের নামাজের মতোই ওয়াজিব।

অন্যান্য বিষয়

ঈদের নামাজে যাওয়ার আগে গোসল করা অতি উত্তম । গোসলের পর পরিস্কার পোষাক পরিধান করা, সুগন্ধি ব্যবহার করা এবং নামাজে যাওয়ার আগে মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া সুন্নত। ঈদের নামাজ খোলা জায়গা, মসজিদ ও ঈদগাহে পড়া যায়। পুরুষদের জন্য এ নামাজ জামাতের সাথে আদায় করা ওয়াজিব এবং মহিলাদের জন্য সুন্নত।

শেষ কথাঃ ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম

আশাকরি ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম কি তা এই পোস্টের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন । আর হ্যাঁ ঈদের নামাজের শেষে ছোট-বড়, ধনী-গরীব সবার সাথে কোলাকুলি করার মাধ্যমে একধরণের ভ্রাতৃত্বের বন্ধন তৈরী হয় এটা আমরা সকলেই জানি। আমরা নিজেদের মধ্যে ভালোবাসার বন্ধন অটুট রাখি.... চিরন্তন।  এতক্ষণ আমার সাথে থাকার জন্য  ধন্যবাদ।





এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url